চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ফাইল ছবি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ২১:৩৪
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় মা ও মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের এক নম্বর অস্ত্রোপচার কক্ষে মীম আক্তার (২০) ও তার নবজাতক মেয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে থাকা ডা. সালমা জাহান ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রনব কর্মকারকে পাওয়া যায়নি। পরে মা ও নবজাতক শিশুর মরদেহকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উত্তজেনার সৃষ্টি হয়।
মীমের নানী সুমনা বেগম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মীমের প্রসব ব্যথা ওঠে। দ্রুত তাকে ঘাটাইল উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। পরে দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মীমকে ভর্তি করা হয়। সেখানে গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহানের তত্ত্বাবধানে দুপুর ১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। ২০ মিনিট পর ওই চিকিৎসক মীমের পরিবারের কাছে দুই ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন বলে জানান। স্বজনরা রক্ত সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করতে থাকেন। এমন সময় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রসূতি মীম আক্তার ও তার নবজাতক কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।’
সুমনা বেগম বলেন, ‘টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ডা. সালমা জাহান কোনো একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচার করানোর কথা বলেন। কিন্তু টাকা যোগাড় করতে দেরি হয় এবং ডা. সালমা অস্ত্রোপচার নিয়ে অবহেলা করেন। এ কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার আগেও মীম নিজে হেঁটে গেছে। অথচ নিয়ে যাওয়ার পর প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।’
মীমের খালা মাজেদা আক্তার বলেন, ‘মীমের মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোরর্পূবক ছাড়পত্র কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মা ও মেয়ের মরদের বের করে দেন।’
ডা. সালমা জাহান বলেন, ‘হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাদকিুর রহমান ঢাকায় থাকায় আমি গণমাধ্যমকে কোনো ধরণের সাক্ষাৎকার এখন দেব না।’
হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম, বিষয়টি শুনেছি। যদি কোনো অভিযোগ ও দায়িত্বে অবহেলা পাই তাহলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টাঙ্গাইল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ডা. সাদিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’