কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
রাতে গ্রেপ্তার আইনজীবী, দিনে জামিনে মুক্ত
আইনজীবী আলা উদ্দিন
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯:১৯ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯:১৯
কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার মামলায় এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছিল কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভরারদিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলা উদ্দিন (৬০) নামের ওই ব্যক্তিকে। তবে বুধবারই আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
কৃষিজমির বালু তোলায় আইনজীবী আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ক্ষোভ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে পাইপের মাধ্যমে দূরের একটি কৃষিজমিতে স্তূপ করে রাখছেন। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে আশপাশের কৃষকদের তিন ফসলি জমি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মো. রফিকুল ইসলাম সোহাগ নামের এক কৃষকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলাও করেন আলা উদ্দিন। এ কারণে এলাকাবাসী ভয়ে ছিলেন।
সোহাগ এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামারা তাসবিহার কাছে সম্প্রতি লিখিত আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযোগের সত্যতা পেলেও আইনজীবী আলা উদ্দিনকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে কটিয়াদী মডেল থানায় মামলা করেন পৌর ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামরুল হাসান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলা উদ্দিন কৃষক সোহাগ ও তাঁর ভাই রাসেলের নামে চাঁদাবাজির মামলা করেন। সোহাগ বলেন, অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ করায় মিথ্যা ও সাজানো এ মামলা করেন তিনি।
অ্যাডভোকেট আলা উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তবে আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই। আদালত জামিন দিয়েছেন।’
পৌর মেয়র শওকত উসমান শুক্কুর আলী বলেন, সোহাগ একজন সাধারণ কৃষক। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে তাঁর নামে মিথ্যা করেন আলা উদ্দিন। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আশা করছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামারা তাসবিহা বলেন, ‘কৃষকের লিখিত অভিযোগ পেয়েই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। এ সময় বালু উত্তোলনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করি।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন। তিনি পরবর্তী সময়ে আবারও একই অপরাধ করলে অভিযানের হুঁশিয়ারি দেন।