ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

পরীক্ষার দাবিতে ইবিতে বিভাগে তালা

পরীক্ষার দাবিতে ইবিতে বিভাগে তালা

তালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে অবস্থান নেন। ছবি: সমকাল

ইবি প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ০৩:৫৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ক্লাস শেষ হওয়ার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা শুরু হয়নি। বিষয়টি একাধিকবার বিভাগের শিক্ষকদের জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিভাগটি শিক্ষার্থীরা। পরে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

শনিবার বেলা ১২টায় অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় বিভাগে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এদিন সকালে বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

জানা যায়, বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস দুই মাস আগেই শেষ হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। 

এদিকে ফাইনাল পরীক্ষার আগে এসে জানতে পারেন, তাদের ব্যাচের সাতজন শিক্ষার্থী ১ম বর্ষের একটি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ। এর ফলে পরীক্ষা শুরু করা যাচ্ছে না। এতে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের গাফিলতিতে এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নন-ক্রেডিট কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন; এই মাসে বাতিল হওয়া ফাইনাল পরীক্ষা শুরু; শীতের ছুটির আগে ভাইভা সম্পন্ন; পরীক্ষার ১৪ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ এবং মার্কশিটসহ ফলাফল প্রদান করতে হবে।

অবস্থানকালে শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা চতুর্থ বর্ষে এসে নম্বরপত্র উত্তোলন করে জানতে পেরেছি,  আমরা ১ম বর্ষে একটা নন-ক্রেডিট কোর্সে উত্তীর্ণ হইনি। এই কোর্সের পরীক্ষা ২য় বর্ষে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভাগ তখন এর কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। গত দুই মাস ধরে আমরা সমস্যা নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেন নি। 

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে বিভাগটির শিক্ষকরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে বেলা ৪টায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। এসে জানতে পারি, পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। আশা করছি, জটিলতা দ্রুতি সমাধান হবে।

এদিকে পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। তারপরও বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টির সমাধান করতে বলেছেন, তাই বিষয়টি দেখছি।’

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×