কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এশিয়ান ব্ল্যাক বিয়ার তথা কালো ভালুকের দুটি বাচ্চার জন্ম হয়েছে। এই প্রজাতির ভালুক বর্তমানে পৃথিবীতে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নতুন দুই অতিথি নিয়ে কালো ভালুকের সংখ্যা দাঁড়াল বর্তমানে ২২টি।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পনেরো দিন আগে স্ত্রী ভালুক জরিনা বাচ্চা দুটির জন্ম দেয়। ইতোমধ্যেই বাচ্চাগুলোর চোখ ফুটেছে। তবে এগুলো নারী না পুরুষ তা দুই মাস পেরোনোর আগে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। আবদ্ধ অবস্থায় ভালুকের বাচ্চা প্রসবের ঘটনা পার্কের ইতিহাসে বিরল বলে জানান কর্মকর্তারা।

সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, বেষ্টনীতে থাকা স্ত্রী ভালুক জরিনাকে বাচ্চাসহ পুরুষ ভালুকগুলোর কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। জরিনা দুই বাচ্চাকে নিয়ে গর্তের ভেতর ঢুকে দুধ খাওয়াচ্ছে। হঠাৎ মানুষের গন্ধ পেয়ে বাচ্চাদের গর্তের ভেতর রেখে একবার বেরোচ্ছে আবার ঢুকে পড়ছে।

পার্কের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এশিয়ান ব্ল্যাক বিয়ার বর্তমানে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। এরা নিশাচর ও একাকী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। মূলত ঝোপ-জঙ্গলের উঁচু পাহাড়ই এদের অন্যতম আবাসস্থল। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি বনাঞ্চলে মাঝেমধ্যে এদের দেখা মেলে। এরা দেখতে কুচকুচে কালো বর্ণের এবং বুকের অংশে ভি আকৃতির সাদা দাগ রয়েছে। উচ্চতায় চার থেকে ছয় দশমিক পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর ওজন হয়ে থাকে ছয় মাস পরবর্তী সর্বনিম্ন ৫০ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ২৮০ কেজি পর্যন্ত। খাদ্যাভ্যাসে এই প্রজাতির ভালুক সর্বভুক।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুই বাচ্চাকে নিয়ে মা জরিনা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। বাচ্চা দুটিও বেশ সুস্থ-সবল রয়েছে।