বগুড়ায় সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে তারা বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিট পানে মারা গেছে কিনা তা জানতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সোমবার ভোররাত থেকে সকালের মধ্যে বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া তিন মাথা, ফুলবাড়ি এবং কাটনারপাড়ায় এ মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- পুরান বগুড়া এলাকার রমজান আলী (৪০), সুমন নাথ (৩৮), কাটনা পাড়ার সাজু মিয়া (৫৫), মোজাহার আলী (৬০), শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার পলাশ মন্ডল (৩৮) ও সদরের ভবেরবাজার এলাকার আলমগীর হোসেন (৫৪)।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমাযুন কবীর বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সুমন ও সাজু মদপানে মারা গেছে। অন্যদের বিষয় জানা যাবে মরদেহের ময়নাতদন্ত করার পর। সবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শহরের তিন মাথা পুরান বগুড়া এলাকায় হরিজন পরিবারের চঞ্চল রবিদাশ নামে এক যুবকের রোববার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বিয়ে বাড়িতে আগত কয়েকজন ব্যক্তি রাতে হোমিও ওষুধের দোকান থেকে রেকটিফাইট স্পিরিট কিনে পান করেন। এদের মধ্যে গভীর রাতে সুমন নাথ ও তার ভাই রবিনাথ, বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ এবং প্রতিবেশী রমজান আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে রমজান আলী ব্যতিত অন্যদের হাসপাতালে নেয়ার পথে সুমন রাস্তায় মারা যান। পরে রবিনাথ, প্রেমনাথ ও রামনাথকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া রমজানকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে ভোর রাতে মারা যান।

শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওয়াদুুর রহমান বলেন, যে তিনজন ভর্তি আছে তাদের শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। তারা মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

এ দিকে রোববার রাত ১০টার দিকে শহরের কালিতলা এলাকায় অ্যালকাহোল জাতীয় মদপান করেন সাজু, মোজাহার ও পলাশ। রাতে বাড়ি ফিরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাড়িতেই তাদের মৃত্যু হয়।

কালিতলাবাজার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, পলাশ, সাজু এবং মোজাহারসহ ৪/৫ জন মিলে বাজারের একটি হোমিও ওষুধের দোকান থেকে স্পিরিট কিনেছিলেন। পরে রাতে ওরা যার যার বাড়ি চলে যায়। সোমবার সকালে জানতে পারেন তাদের তিনজনের মৃত্যুর কথা। 

বগুড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, তিনজনই কালিতলা বাজার এলাকায় অতিরিক্ত অ্যালকাহোল পান করে অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা যান।