সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাছাদেক গ্রামের বাড়ি থেকে চার দিন আগে বেরিয়ে ছিলেন পল্লি চিকিৎসক রেজাউল করিম হায়াত (৫০)। 

সোমবার নগরীর লালাবাজার এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে মহানগর পুলিশ। রেজাউল করিম কালাছাদেক এলাকার উত্তর রাজনগর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে নগরীর লালাবাজারের হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্তত একদিন আগে তাকে অন্য কোথাও খুন করে হোটেলের পেছনে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

নিহত রেজাউল করিমের মাথায় ছুরি জাতীয় ধারাল কিছুর আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে পুলিশ। সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশ পাঠানোর আগে পিবিআই বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সে সময় পুলিশ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি। এরপর তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় নিহতের পরিচয় জেনে নিশ্চিত হতে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, গ্রামের বাড়ি থেকে নিহতের স্বজনরা এলে আরও তথ্য জানা যাবে। সোমবার সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হোটেলের পেছনে লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ হত্যা করে হোটেলের পেছনে ফেলে যায়। বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে মোহাম্মদীয়া হোটেলের ম্যানেজার আবদুর রউফ চৌধুরী, সহকারী ম্যানেজার শামীম এবং হোটেল কর্মচারী দেলোয়ার ও ফরিদকে থানায় নিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।