- সারাদেশ
- সাতক্ষীরায় সিরিজ বোমা হামলা: ২২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
সাতক্ষীরায় সিরিজ বোমা হামলা: ২২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহরের ৬ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে ২৪ আসামির মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সর্বোচ্চ ১৩ বছর ও সর্বনিম্ন ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শরিফুল ইসলাম এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ দিন বোমা হামলার ৬ মামলার প্রতিটিতে ২৪ আসামির মধ্যে ২২ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। বাকি ২ জনের মধ্যে নাসিরউদ্দিন দফাদার আগেই মৃত্যুবরণ করেছে এবং অপর এক আসামি আবুল খায়েরকে বেকুসর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ১৮ আসামি উপস্থিত ছিলো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সিরিজ বোমা হামলার ৬টির প্রতিটি মামলায় ২৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। চার্জশিটভুক্ত ২৪ আসামির চারজন এখনও পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা শহরতলির বাঁকাল ইসলামসপুরের নাসিরুদ্দিন দফাদার ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মস্তিস্কের রক্ষক্ষরণজনিত কারণে সাতক্ষীরা কারাগারে মারা যান।
মঙ্গলবার জেলখানা থেকে নয়জনকে আদালতে আনা হয়। এই মামলায় আগেই জামিনে থাকা ১০ জন আসামি আদালতে হাজিরা দেন। আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের ফখরুদ্দিন রাজি, সাতক্ষীরা সদরের সাতানির আবুল খায়ের, খড়িবিলার মনোয়ার হোসেন উজ্জল ও কলারোয়ার পাটুলি গ্রামের নাঈমুদ্দিন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুস সামাদ জানান, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহীদ রাজ্জাক পার্ক, সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে এই বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই প্রত্যক্ষদর্শী বাঁকাল ইসলামপুর চরের রওশানের বিবরণ মতে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী সাতক্ষীরা শহরতলীর বাঁকালের দলিলউদ্দিন দফাদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন দফাদার আটক হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয় এবং ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) এ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয় । সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানান তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়।
২০০৬ সালের ১৩ মার্চ সিআইডি এসব মামলায় ২৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। সে বছরই মামলাগুলো খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। যথাসময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ জুন মামলাগুলো খুলনা থেকে ফেরত আসে সাতক্ষীরায়।
২০০৮ সালের ১৪ ফের্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাগুলির বিচার কাজ শুরু করেন।
মন্তব্য করুন