গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত শুক্র ও মঙ্গলবার দুটি মামলা হয়। মারামারির কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ সোনারপাড়া গ্রামের শাকিরুল মণ্ডল।

কামারদহ সোনারপাড়া গ্রামের মৃত নঈম উদ্দিনের ছেলে জবেদ আলী ও মেহেদুল ইসলামের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ব্যাপারিপাড়ার বাসিন্দা ছামছুল হক সরকারের ছেলে রশিদুল ইসলামের সঙ্গে ৭০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।

জবেদ আলী পক্ষের শাকিরুল মণ্ডল দাবি করেছেন, গত ৫ ফেব্রুয়ার প্রতিপক্ষ রশিদুল ইসলাম ও তার লোকজন পুলিশ নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে গ্রামবাসী বাধা দিলে পুলিশসহ তারা ফিরে যান। এরপর রশিদুল ইসলামের শ্যালক মেহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিন শাকিরুলসহ সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরদিন ওই মামলায় গ্রেপ্তার হন শাকিরুল। এরপর গত মঙ্গলবার রশিদুল ইসলামের ভাই জহুরুল ইসলাম দুলা বাদী হয়ে আরেকটা মামলা করা হয়। প্রথম মামলায় বুধবার জামিন পান শাকিরুল।

শাকিরুল দাবি করেন, ওইদিন সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। অথচ মারামারির মামলা নিয়েছে পুলিশ। প্রতিপক্ষ রশিদুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।

মামলার বাদী জহুরুল ইসলাম দুলা বলেছেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর আর জমিতে যাইনি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

থানার এসআই আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, মামলা নেওয়ার দায়িত্ব তার না। তাকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবেন। আর থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে তদন্তের আগে মামলা রেকর্ড করা হলো কেন- এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ওই জমি নিয়ে আগেই মামলা করেছিলেন জবেদ আলী। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে জবেদের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা করেন রশিদুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা আক্তার। পরে ওই পিটিশন অকার্যকর হয়। এ বছর ওই জমিতে ধান রোপন করেছেন জবেদ ও মেহেদুল। এরপর গত শুক্রবার রশিদুল ও তার লোকজন ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দেন প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই মামলা হয়।