- সারাদেশ
- অবরোধ প্রত্যাহার, ১০ ঘণ্টা পর বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক সচল
অবরোধ প্রত্যাহার, ১০ ঘণ্টা পর বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক সচল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ- সংগৃহীত
উপাচার্য ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে ১০ ঘণ্টা পর মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এতে বুধবার বিকেল ৫টা থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিজেদের তিন দফা দাবি পূরণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে এ অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে অবসান ঘটেছে টানা ১০ ঘণ্টা যাত্রী ভোগান্তির।
মঙ্গলবার রাতে ববি শিক্ষার্থীদের মেসে পরিবহন শ্রমিকদের হামলার ঘটনা ঘটে। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশালের সঙ্গে পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনাসহ দক্ষিণের ১০ রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসেন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উপাচার্যের কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষার্থীদের তুলে ধরা দাবিগুলো হচ্ছে, মঙ্গলবারের ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ভূমিকা নিতে হবে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।
দ্বিতীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোকতার হোসেন ও উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মনজুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান তমাল বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোকতার হোসেন বলেন, আধা ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল হামলাকারী বাস শ্রমিকদের গ্রেপ্তার এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণে পুলিশ সচেষ্ট থাকবে।
উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের পথ থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন