‘ভাই আমারে বাঁচান, প্লিজ প্লিজ আমারে বাঁচান ভাই’। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কের গত শুক্রবারের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এভাবেই বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন। মোজাক্কের আর নেই। শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান তিনি। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার সেই বাঁচার আকুতি জানানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

২৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গলায় ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে ছটফট করছেন মোজাক্কের। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভাই, ভাই বাঁচান’। তখন অন্য একজন বলেন, ‘আরে ক্যামনে বাঁচামু তোরে, আমার নিজেরা তো বাঁচতে ফারি না’। তারপর মোজাক্কেরকে টেনে তুলে বসানো হয়। তখন একজন বলেন, ‘ক্যামেরাডা কুনাই’। মোজাক্কের বলেন, ‘ক্যামেরা আছে, আছে। ক্যামেরা আছে’। এরপর মোজাক্কের আবার বলেন, ‘ভাই বাঁচান। প্লিজ বাঁচান। ভাই আমারে বাঁচান ভাই’।

গত শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপারাশির হাটের পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের গ্রুপের মধ্যে গুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় নিউজ সংগ্রহের সময় সাংবাদিক মোজ্জাকেরসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত সাংবাদিককে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতলে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কের দৈনিক বাংলা সমাচার ও বার্তা বাজার অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি। তিনি নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। মোজাক্কের কোম্পানীগঞ্জের চরপকিরায় ইউনিয়নের নোয়াব আলীর ছেলে।