করোনার কারণে এবার বেনাপোল চেকপোস্টে দুই বাংলার মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান না হলেও নোম্যান্সল্যান্ডে ভাষাপ্রেমীদের মিলনমেলা হয়েছে। এ সময় ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল ভাষার টানে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ একই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে একই মঞ্চে তুলে ধরেন বাংলা ভাষার জয়গান।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রোববার বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট নোম্যান্সল্যান্ডে রোববার সকাল ১০টায় অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও ভারতের বনগাঁ পৌরসভার প্রশাসক শংকর আঢ্য। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও অংশ নেন। পরে মিষ্টি বিতরণ, আলোচনা, গানের আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। আর এই স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের জনগণ ও সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক, নাড়ির সম্পর্ক। সে জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

শংকর আঢ্য বলেন, ২০০২ সালে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার 'ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা-পদ্মা ভাষা ও মৈত্রী সমিতি'র উদ্যোগে সীমান্তবর্তী প্রায় ২০টি সংগঠন বেনাপোল-পেট্রাপোলের এই মিলনমেলার সূচনা করে। দিনে দিনে বেড়েছে এর পরিধি। তৈরি হয়েছে পারস্পরিক আস্থা ও ভালোবাসার বন্ধন। ভাষা আর স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগের নজির পৃথিবীতে অন্য কারোর নেই।