- সারাদেশ
- যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩ কিশোর হত্যায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩ কিশোর হত্যায় ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন বন্দি কিশোর হত্যা মামলায় কেন্দ্রের চার কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে জড়িত অপ্রাপ্তবয়স্ক অপর চার শিশুর বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে একজনকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রোকিবুজ্জামান শুক্রবার এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত চার কর্মকর্তা হলেন, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান।
অভিযুক্ত অপর চারজন হলেন, কেন্দ্রের চার বন্দি গাইবান্ধার খালিদুর রহমান তুহিন, নাটোরের হুমাইন হোসেন, মোহাম্মদ আলী ও পাবনার ইমরান হোসেন।
অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তরা হলো- চুয়াডাঙ্গার আনিস, কুড়িগ্রামের রিফাত হোসেন, রাজশাহীর পলাশ ওরফে শিমুল ও পাবনার মনোয়ার হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, এ মামলায় ১৩ জন আসামি ছিলেন। তদন্ত শেষে এ ঘটনায় মোট ১২ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরমধ্যে চার কর্মকর্তা ও চার বন্দি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া অপর চার বন্দি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্তে বন্দি কিশোর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুকের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ কারণে চার্জশিটে তার অব্যহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের প্রধান প্রহরী নূর ইসলামকে মারপিটের জেরে ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ বন্দি কিশোরকে কর্মকর্তাদের নির্দেশে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। এতে বন্দি বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পারামানিকের ছেলে নাঈম হোসেন, খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি ও বগুড়ার শেরপুরের মহিপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন মারা যায়। এছাড়া গুরুতর আহত হয় আরও ১৫ জন।
ওই ঘটনায় নিহত পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া কোতোয়ালি থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন।
মন্তব্য করুন