আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। একটি খারাপ আচরণ ১০টি ভালো কাজ ম্লান করে দেয়। মনে রাখতে হবে, জনগণই ক্ষমতার উৎস। কাজেই তাদের স্বার্থকে সবসময়ই প্রাধান্য দিতে হবে।

শনিবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তিনি নিজেকে নিজেই বিতর্কিত করেছেন। ইতিহাস তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। এমনকি তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জাতি তার এই কর্মকাণ্ড কোনোদিন ক্ষমা করবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন ৭ মার্চ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। 

কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ করোনার চরম মহামারির সময়ই অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা বসন্তের কোকিলের মতো দলে ঢুকে সুযোগসুবিধা গ্রহণ করবে তাদের ব্যাপারে সকল নেতাকর্মীকে সর্তক থাকতে হবে। দুঃসময়ে যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, যারা প্রকৃতই ত্যাগী নেতাকর্মী, তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে।

সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, যারা দলের বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন বা প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে আর কখনো দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দলে থাকবে না তাদের পদ পদবীও। একই সঙ্গে এদেরকে যারা মদদ দিয়েছেন কেন্দ্র তাদেরও তালিকা প্রস্তুত করছে। 

এসময় ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে আরও এগিয়ে নিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং পৌর মেয়র এসএম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসএম কামাল হোসেন, সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, আব্দুল আওয়াল শামীম, তানভীর ইমাম এমপি, অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস প্রমুখ।