অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান শুরু করে প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মালিক সমিতির সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, 'চট্টগ্রামে ৫০০ ইটভাটা রয়েছে। এ সব ভাটায় প্রায় ৬ লাখ শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই এসব ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই খাতে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। ইটভাটা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ রাখব।'

এভাবে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হলে ইট সংকটে চট্টগ্রামে চলমান মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিবে বলেও মনে করেন তারা। প্রতিবাদ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ ও চট্টগ্রাম জেলার ইটভাটা শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মানববন্ধন হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এর আগে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে। ওই রিটের শুনানিতে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে যেসব ইটভাটা জ্বালানি হিসেবে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা দেয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর অবৈধ ইটভাটার বিরম্নদ্ধে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক, মালিক সমিতির নেতা মো. ফরিদ, আবিদ হোসাইন, জয়নাল আবেদীন, মাইন উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম খোকা, আবদু রহিম বাদশা, আজিজুল হকসহ সংগঠনটির ১৪ উপজেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।