- সারাদেশ
- ভোট বেচতে রাজি না হওয়ায় মা-ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত
ভোট বেচতে রাজি না হওয়ায় মা-ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত

টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে গিয়েছিলেন এক প্রার্থীর লোকজন। ভোট বেচতে রাজি না হওয়াতে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডীপাশা মহল্লায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাকে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার ডান পায়ে ১৬টি সেলাই দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই মহল্লার রইছ উদ্দিনের ছেলে হামলায় আহত রুস্তম আলী (৩০) পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ইসাক মিয়ার পক্ষে কাজ করছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইসাক মিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হেদায়েতুল ইসলাম।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রস্তম আলী জানান, দুই দিন আগে ইসাকের পানির বোতল মার্কার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলে তিনি ব্যতিক্রম পোশাক পরে অংশ নিয়ে সবার নজর কাড়েন। এরপর থেকেই অন্য প্রার্থীর কর্মীরা তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকেন। শুক্রবার রাতে মুখবাঁধা কয়েকজন লোক বাড়িতে ঢুকে ঘুম থেকে তাকে ডেকে তোলেন। পরে তার হাতে দুই হাজার টাকা দিয়ে পরিবারের চারজনের ভোট চান। তিনি টাকা না নিয়ে ঘটনাটি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আগতরা তাকে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। চিৎকার শুনে তার মা মাজেদা বেগম (৬০) ছুটে এলে তাকেও কোপান সন্ত্রাসীরা। পরে লোকজন চলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাজেদার পায়ে ১৬টি সেলাই দিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। মাজেদা বলেন, আমার ছেলের কাছ থেকে হামলাকারীরা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে এসেছিল। রাজি না হওয়ায় হামলা করেছে তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী হেদায়েতুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি সাজানো। কেননা যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে আমার পক্ষের লোকজন প্রচার চালাতে যেতেই পারে না। এটি আমার বিরুদ্ধে অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ ব্যাপারে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আনন্দ জানান, ঘটনাস্থলে একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন