- সারাদেশ
- রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল ভাসানচরে
রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল ভাসানচরে

ফাইল ছবি
কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে পাঠানো রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে নোয়াখালীর ভাসানচর পৌঁছেছে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।
চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি ফুমিকো কাশিওয়ার নেতৃত্বে ১৮ জনের প্রতিনিধি দল বুধবার দুপুরে ভাসানচরে পৌঁছায়।
ভাসানচর থানার ওসি মো. মাহে আলম জানান, প্রতিনিধি দলটি বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত ভাসানচরে থেকে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে সেখানে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বৈঠক করবে। তিনি বলেন, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভাসানচরে পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর বিকেলে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। রোহিঙ্গাদের সেখানকার সুযোগ-সুবিধার কথা শোনেন।
ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির জানান, জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল ভাসানচরে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ জানান, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায় কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞরা তিন দিনের এই প্রাথমিক পরিদর্শনে রয়েছেন। এর মাধ্যমে ভাসানচরে বর্তমান সুযোগ-সুবিধা ও পরিস্থিতি দেখা হবে, স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হবে এবং সরকারি কর্তৃপক্ষ ও চরে কর্মরত অন্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
আরআরআরসি কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দফায় ভাসানচরে গেছেন মোট ১৩ হাজার ৭২৩ জন রোহিঙ্গা। এর আগে মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। এ ছাড়া এরও আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নেওয়া হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছে।
শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
মন্তব্য করুন