কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে আরও ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালী ভাসানচরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছান তারা। 

এর আগে বুধবার সকাল থেকে 'চল চল ভাসানচর চল' স্টিকার লাগানো বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে নেওয়া হয় তাদের। এই নিয়ে ছয় দফায় মোট ১৫ হাজার ৮৫২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসতি করছে।

এদিকে মার্চের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ভাসানচর পরিদর্শন করে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমোডোর রাশেদ সাত্তার জানান, ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরে ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গাকে আবাসান সেন্টারে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ দফায় দ্বিতীয় দলের ২ হাজার ১৮৫ জন রোহিঙ্গার শুক্রবার সকালে ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) খোরশেদ আলম খান জানান, এবারে দুই দিনে মোট ৪ হাজার বেশি রোহিঙ্গা ভাসনচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরআরআরসি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব এলাকায় থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছান ২ হাজার ১২৫ জন রোহিঙ্গা। এর আগে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। 

এদিকে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছর মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার। তারাও সেখানে রয়েছেন।