- সারাদেশ
- গোয়ালন্দে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
গোয়ালন্দে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা

নিহতের স্বজনদের আহাজারি -সমকাল
সন্ত্রাসীদের গুলিতে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল গণি মণ্ডল নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেন। এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে গণি মণ্ডল ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে পাশেই নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে। গুলি তার পেটে বিদ্ধ হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে নিয়ে যান। অবস্থার আরও অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল সন্ত্রাসী হামলায় গত ১৯ মার্চ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গণি মণ্ডল ৪নং ওয়ার্ডের টানা পাঁচবারের নির্বাচিত সদস্য। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রশিদ টিটু মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, গুলি তার পেটেই রয়ে গিয়েছিল। এনাম মেডিকেলে অপারেশন করে গুলি বের করা হয়। কিন্তু প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, 'আমার ভাইয়ের মতো সাদা মনের একজন মানুষ আজ সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মারা গেলেন। আমরা কেউই এখন নিরাপদ নই। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।'
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে নেমেছেন তারা।
মন্তব্য করুন