নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চৌমুহনী রেললাইন এলাকা থেকে বড়পুল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এসময় মোটরসাইকেলে আগুন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ১৫ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান পাঠান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার আ’লীগ কর্মী শিহাব ও করিমপুর এলাকার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ও চৌমুহনী বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রেললাইন এলাকায় দুই গ্রুপের লোকজন একত্রিত হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এতে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। এসময় সংঘর্ষকারী রিপন ও তার লোকজন শিহাবের মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে। এতে করে শিহাবের মোটরসাইকেলটি সম্পূর্ন পুড়ে যায়। ওই সময় শিহাব ও তার লোকজন আত্মরক্ষার্থে স্থানীয় জামান মার্কেটে অবস্থান নিলে রিপনের লোকজন তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    
চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান পাঠান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চৌমুহনী বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, নোয়াখালী ৩-আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের অনুসারী শিহাব ও চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের অনুসারী রিপনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।