ভাঙচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পৌরসভা ভবন। পুড়ে গেছে ভবনে থাকা সব কাগজপত্র। ব্যাহত হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ ও নাগরিক সেবা। 

গত ২৮ মার্চের হরতাল চলাকালে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দেড়শ বছরের পুরোনো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ভবন। এ অবস্থায় তাঁবু টানিয়ে খোলা হয়েছে পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়। এ ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই  বৃহস্পতিবার খোলা আকাশের নিচে শপথ নিলেন পৌরসভার পুনর্নির্বাচিত মেয়র নায়ার কবির। সকাল সাড়ে ১১টায় শপথ গ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো মেয়রের দায়িত্ব নেন তিনি। পৌরসভার নবনির্বাচিত পরিষদের প্রথম সভাও একই সময় অনুষ্ঠিত হয়।

দায়িত্ব নেওয়ার সময় নায়ার কবির বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো আমার এ দায়িত্ব নেওয়ার অনুষ্ঠান পৌরবাসীকে নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে হবে- এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। তবে হেফাজতের নজিরবিহীন তাণ্ডবে ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় তা আর হলো না। তাই খোলা আকাশের নিচেই দায়িত্বভার গ্রহণ এবং নবনির্বাচিত পৌর পরিষদের প্রথম সভা করতে বাধ্য হয়েছি, যা ছিল কল্পনাতীত।

এ সময় পৌর পরিষদ, পৌরবাসী ও সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র। যত দ্রুত সম্ভব বিভিন্ন নাগরিক সেবা পুনরায় শুরুরও আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত পৌর কাউন্সিলররা ছাড়াও পৌর সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিকাশ চন্দ্র মিত্র, সহকারী প্রকৌশলী কাউসার আহাম্মদ, হিসাবরক্ষক গোলাম কাউসারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ মার্চ হরতাল সমর্থকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর ভবন, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দিরসহ অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ২৬ মার্চ বিকেলে হেফাজতের বিক্ষোভকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।