ফরিদপুরের সালথার তাণ্ডবের পেছনে ফুকরা বাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হীরামনি গাড়ি থেকে নেমে কয়েক ব্যক্তিকে পেটানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তদন্ত কমিটি তার সত্যতা পায়নি। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আলীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ৬ এপ্রিল গঠিত ওই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। রোববার কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাংবাদিকদের বলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় এসিল্যান্ডের ভূমিকার বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখেছে কমিটি। তাকে অনেক জেরা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ওই কমিটির পাশাপাশি প্রশাসনের আরেকটি তদন্ত কমিটিও এসিল্যান্ডের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করেছে। সে কমিটিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি এনজিওর একজন প্রতিনিধিও ছিলেন। সেই প্রতিবেদনেও এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষতি পরিমাপের জন্য আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে মোট দুই কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩৮ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন।

এদিকে, নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান সমকালকে বলেন, সালথায় সহিংসতার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মধ্যে ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।