লকডাউনে স্বামী বাড়ি ফিরলে সুজি রান্না করেন স্ত্রী। তাতে মেশানো হয় ঘুমের ট্যাবলেট। এতে অচেতন হয়ে গেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে। পরকীয়ার জের ধরে বুধবার বিকেলে পার্বতীপুর পৌরসভার চাঁন্দোয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার শাহজাদ হোসেনের (৩৭) লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মমিনুর রহমান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শাহজাদের স্ত্রী শরিফা বেগমকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে পার্বতীপুরের চাঁন্দোয়া পাড়া গ্রামের শাহজাদ হোসেনের সঙ্গে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ভোটগাছ গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে শরিফা বেগমের বিয়ে হয়। এটি ছিল শাহজাদ হোসেনের তৃতীয় ও শরিফা বেগমের চতুর্থ বিয়ে। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। গত সাত মাস আগে টাঙ্গালের একটি অটোরাইস মিলে শ্রমিকের কাজ নেন শাহজাদ। করোনার কারণে বুধবার সকালে বাড়িতে আসেন তিনি।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শরিফা বেগম জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সুজির সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে স্বামীকে খেতে দেয় সে। সুজি খেয়ে বিছানায় অচেতন হয়ে পড়েন শাহজাদ। এরপর তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করে। সন্ধ্যার দিকে স্বামী ঘুম থেকে উঠছে না বলে বাড়ির সবাইকে জানায় সে। পরে আলামত দেখে সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা শরিফাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এক প্রবাসীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় স্বামীকে খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন শরিফা।

পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, শরিফা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।