- সারাদেশ
- সালথায় তাণ্ডবের আসামি পিকুল মোল্যা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি
সালথায় তাণ্ডবের আসামি পিকুল মোল্যা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি

ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যা-ফাইল ছবি
ফরিদপুরের সালথায় গত ৫ এপ্রিল সহিংসতায় নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনার আসামি উপজেলার কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সালথায় তাণ্ডবের ঘটনায় ভূমি অফিস ভাঙচুর মামলায় ২৬ নম্বর আসামি তিনি।
পিকুল মোল্যা প্রতিদিন তার ফেসবুক থেকে সালথা উপজেলা প্রশাসন ও সালথার সাংবাদিকদেরকে নিয়ে নানা ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট দিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। এতে উপজেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত পিকুল মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেন, সালথায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। পিকুল মোল্যা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভুয়া পরিচয় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ৫ এপ্রিল নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ২৫ জানুয়ারি সালথা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ হন ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যা। এ ছাড়া পিকুলের ভাই এনায়েতের দখলে থাকা সরকারি জমি উদ্ধার করে প্রশাসন। এ ঘটনায় পিকুল ও তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন। ক্ষোভ বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে ও সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পিকুল। ওই ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই জনতার ক্ষোভের তিলকে মদদ ও রসদ দিয়ে তাল বানাতে সাহায্য করেছেন তিনি ও তার অনুসারীরা।
সালথায় তাণ্ডবের ঘটনায় ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে গত ৮ এপ্রিল সমকালে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্ধ হন এবং ফেসবুকে সাংবাদিকদের নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিতে থাকেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যা বলেন, তিনি এই হামলার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি তার এলাকা রামকান্তপুরের উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে প্রশাসনের সাথে অসন্তোষ ও ফেসবুকে তার বিরূপ মন্তব্যের কথা স্বীকার করে পিকুল মোল্যা বলেন, আমি ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের দুর্নীতি নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেছি বিধায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নই।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিব সরকার বলেন, তাণ্ডবের ঘটনার ভূমি অফিস ভাঙচুরের মামলায় পিকুল মোল্যা ২৬ নম্বর আসামি। তিনি উপজেলা প্রসাশনকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করছেন। সেগুলো আমরা দেখেছি। এ বিষয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, পিকুলকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন