বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় আলোচিত সেই পারুল হোমিও ল্যাবরেটরির লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বুধবার সমকালে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এতে সারাদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগারির ৮০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাতে পারুল হোমিও ছাড়াও বগুড়ার আরও দুই প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।

ঔষধ প্রধাশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুসরণ না করা এবং উৎপাদন লাইসেন্স ইস্যুর শর্ত ভঙ্গের দায়ে বগুড়ার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরি প্রাইভেট লিমিটেড এবং পুনম হোমিও ল্যাবরেটরিজের উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়। এ ছাড়া ড্রাগ কন্ট্রোল আইন ১৯৮২-এর ১৫ (১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে বগুড়ার কাহালুর মেসার্স ইস্টল্যান্ড ল্যাবরেটরিজের (ইউনানি) উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় একটি বিয়ে বাড়িতে এবং শহরের কালিতলা ও ভবের বাজার এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়। পরে কয়েক দিনে কাহালু এবং শাজাহানপুর এলাকায় আরও ১০ জনসহ মোট ১৬ জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আট ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানানো হয়। তখনই পুলিশি তদন্তে পারুল হোমিও ল্যাবরেটরির নাম আসে। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে দায়ের করা মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পারুল হোমিও ল্যাবরেটরির স্বত্বাধিকারী শহরের ফুলবাড়ী এলাকার নুরুন্নবী ওরফে নুরনবীসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ হলেই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।