রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকার ডাম্পিং জোনে বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে ১০ বছরের শিশু মো. আহাদকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার শিশুটিকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার পর মরদেহটি ঝোপের ভেতর ঘাস ও লতাপাতা দিয়ে গুম করা হয়। সোমবার আদালতে এ কথা স্বীকার করেন গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী রুবেল। এর আগে রোববার এলাকাটি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত আহাদ বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় মো. শাকিল নামে এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতার সহযোগী হিসেবে কাজ করত। অভিযুক্ত রুবেলও ওই স্টেশনে ভাসমান অবস্থায় থাকতেন। তিনি মাদকাসক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তাপস কুমার দাস সমকালকে বলেন, রোববার আহাদের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে রুবেলকে আটক করা হয়। এরপর রোববার রাতেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ইট জব্দ করা হয়। রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আহাদকে হত্যার কথা স্বীকার করে। সোমবার সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার রুবেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, শনিবার রাতে রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তখন আহাদকে পেয়ে তাকে বলাকা ভবনের বিপরীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে ডাম্পিং এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে বলাৎকারের চেষ্টা করে বাধা পায়। আহাদ চিৎকার-চেঁচামেচি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ইট দিয়ে শিশুটির মাথায় একাধিক আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

রুবেল আদালতে জানিয়েছেন, তার মাদকের নেশা কেটে গেলে ভয় পেতে থাকেন। এরপর যাতে ধরা না পড়েন, সেজন্য আহাদের মরদেহটি টেনে ফুটপাতের বাউন্ডারির মাঝখানে গর্তের ভেতর নিয়ে যান। সেখানে লতাপাতা ও আবর্জনা দিয়ে মরদেহটি ঢেকে রেখে তিনি রেলস্টেশনে চলে যান।