ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট
ছবি: সমকাল
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১:৩৩ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১:৩৩
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনে যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। চৈতি গার্মেন্ট এলাকা থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
যানজটের কারণে এই পথ পাড়ি দিতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এদিকে, মহাসড়কের পাশের পাম্প স্টেশনগুলোতেও যানবাহনের প্রচুর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। যানবাহনের অত্যধিক চাপের কারণে মেঘনা টোল প্লাজায় টোল আদায়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় মাহমুদুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, সকালে তিনি কাঁচপুর থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কাঁচপুর থেকে চৈতি গার্মেন্ট পর্যন্ত কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়া আসতে পারলেও এখান থেকে মোগরাপাড়া আসতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। বাকি পথ কখন যাব ভাবনায় পড়ে গেলাম।
কামরুল ইসলাম বাবু নামের বাস যাত্রী জানান, পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। পথে যানজট দেখে মনে হয় সঠিক সময়ে পৌঁছানো যাবে না।
নাসিরউদ্দিন নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের অন্যান্য দিন প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজ বের হয়েছি। কিন্তু যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
খোকন নামের কাভার্ডভ্যানের চালক জানান, হরতাল-অবরোধে অনেক জায়গাতেই বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়। এ কারণে আমরা ভয়ে মহাসড়কে বের হই না। আজ যেহেতু হরতাল নেই তাই মালামাল পৌঁছে দিতে আজ বের হয়েছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক জানান, মহাসড়কে যানবাহনের অত্যধিক চাপ থাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এমন হয়েছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজট না থাকলেও টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে দেরি হওয়ায় গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যানজটের সৃষ্টি। দুপুরের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।