মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পদ্মা নদীতে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ প্রাণহানির ঘটনায় স্পিডবোটের চালক শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার তাকে আটক করে পুলিশ। এর আগে দুর্ঘটনার পর শাহ আলমসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

এদিকে দুর্ঘটনার পর যে ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মাইগ্রো এলাকার আরজু সরদার (৪০) ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে ইয়ামিন, মাদারীপুরের রাজৈর শঙ্কারদি এলাকার তাহের মীর (৩০), কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মাইখারকান্দি এলাকার কাওসার হোসেন (৪০) ও রুহুল আমিন (৩৫), তিতাস উপজেলার ইসুবপুর এলাকার জিয়াউর রহমান (২৮), মুন্সিগঞ্জের সাতপাড় এলাকার সাগর শেখ (৩৭), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পসারিয়াবুনিয়া এলাকার জনি অধিকারী (২৬)। তাদের লাশ স্বজনদের কাজে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পদ্মা নদীতে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।