ফেনী সদরে এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী শহরতলীর মাইজবাড়িয়া গ্রামে ওই কিশোরীদের বাড়ি থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তানিশা ইসলাম (১১) মাইজবাড়িয়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শহীদুল ইসলামের মেয়ে। সে একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শেণিতে পড়তো।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তানিশাকে ঘরে একা রেখে তার মা ও বোন পাশের বাড়িতে যান। রাত ১১টার দিকে ঘরে এসে তানিশাকে না পেয়ে তার মা তাকে ছাদে খুঁজতে যান। এ সময় ছাদের সিঁড়ি ঘরে পাওয়া যায় তানিশার গলা কাটা লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তানিশার  মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে তানিশার নিকটাত্মীয় এক কিশোরের জুতা পাওয়া যায়।

ফেনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার বলেন, রাতেই জিঙ্গাসাবাদের জন্য ওই কিশোরকে আটক করা হয়। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

তবে কিশোরকে আটক করলেও হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ।

তানিশার মা জানায়, বুধবার ছিল তানিশার জম্মদিন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার জম্মদিন ও ঈদ উপলক্ষে উপহার হিসেবে তার জন্য নতুন লেহেঙ্গা কেনা হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে আর আনন্দ করা হলো না তানিশার।

ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডিসহ একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।