যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরা ১৪০ যাত্রীকে সাতক্ষীরা শহরের তিনটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় দেশে আসা এসব যাত্রীদের মধ্যে ৫০ জনের একটি দলকে আবাসিক হোটেল উত্তরা ও বাকীদের টাইগার প্লাস এবং হোটেল আল কাশেম এ রাখা  হয়েছে।

দেশে ফেরা প্রত্যেকেরই পাসপোর্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় জমা আছে। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

অর্থের অভাবে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানিয়েছেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এই পাসপোর্ট যাত্রীরা।

এদিকে,  ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা পাসপোর্ট যাত্রীদের সাতক্ষীরার শহরের বিভিন্ন হোটেলে রাখার খবরে আতংকিত হয়ে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষেরা।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমাদের কাছে কোনও টাকা নেই। অথচ নিজ খরচে থাকা খাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বেশির ভাগ পাসপোর্ট যাত্রী কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত।

সাতক্ষীরা টাইগার প্লাস হোটেলের ম্যানেজার আতীক বলেন,  সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ভারতফেরত ৪১ জন পাসপোর্ট যাত্রীকে আমাদের হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে। আমারদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো হোটেল ভাড়া ওইসব পাসপোর্ট যাত্রীরাই বহন করবে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা এসব যাত্রীরা এখন বলছে তারা হোটেল খরচ বহন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছে। এক একজন একেক দিন খাদ্য সরবরাহ করছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।  

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ভারত থেকে বেনাপোল কাস্টমস অফিস দিয়ে দেশে ফেরা ১৪০ জন বাংলাদেশীকে সাতক্ষীরায় অবস্থান করছেন। জেলা শহরের তিনটি আবাসিক হোটেলে তাদেরকে রাখা হয়েছে। তারা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ পাশ নিয়ে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশি হাইকমিশনে  বন্ড দিয়ে শর্তসাপেক্ষে দেশে ফিরে এসেছে।

তিনি জানান, শর্ত অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন যেখানে তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করবে সেখাইে তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং তারা নিজ খরচে থাকবে। দেশে ফেরার আগে তারা  এসব শর্তে রাজি হয়ে দেশে ফিরেছে। তাদের কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।