করোনার বিধিনিষেধের কারণে সারাদেশে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও জরুরি পণ্য পরিবহনে বিভিন্ন রুটে কিছু পার্সেল ট্রেন চালু রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এসব ট্রেনে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলেও বর্তমানে সব পার্সেল ট্রেনে অবাধে যাত্রী আনা-নেওয়া করছেন রেলের কিছু অসাধু কর্মচারী। একই সঙ্গে ট্রেনে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় চলছে মাদক পরিবহনও। 

গত সোমবার একটি পার্সেল ট্রেন থেকে ২৮২ বোতল ভারতে উৎপাদিত ফেনসিডিল উদ্ধার এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের দুই সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। 

শুক্রবার আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, চিলাহাটি থেকে খুলনাগামীসহ বিভিন্ন রুটে পার্সেল ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনের একমাত্র যাত্রীবাহী কামড়ায় ঠাসাঠাসি করে বসে আছেন শতাধিক যাত্রী। তাদের অনেকের মুখে নেই মাস্ক, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। ছবি তুলতে গেলে অনেকে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) বলেন, কামড়ায় যেসব যাত্রী আছেন; তাদের অধিকাংশ রেলের কর্মচারী বা তাদের স্বজন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সব পার্সেল ট্রেনের একই অবস্থা। সান্তাহার স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, মাদক পরিবহনের বিষয়টি তদারকির জন্য ট্রেনে জিআরপি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আছেন। ট্রেনের ভেতরের পরিবেশ দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের।