প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে মঙ্গলবারও কর্মস্থলগামী মানুষের ভিড় দৌলতদিয়া ঘাটে। 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই ফেরিতে নির্বিঘ্নে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে শত শত যাত্রী ও যানবাহন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সাধারণ যাত্রীদের চাপ। নৌরুটে চলাচলকারী ১৬টি ফেরি চালু থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী কোনো যানবাহনকে দীর্ঘ সারিতে আটকে থাকতে হচ্ছে না। 

অন্যদিকে এখনও রাজধানী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। যাত্রীরা দুর্ভোগ ছাড়া ফেরির নাগাল পেলেও তাদের মধ্যে নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। একে অপরের সঙ্গে গাদাগাদি করেই ফেরিতে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা। 

ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী পোষাক কারখানায় কর্মরত আফজাল হোসেন জানান, ঈদের আগে বাড়িতে আসার সময় নিজস্ব মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেও প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তবে ফেরার সময় অনেকটা সাচ্ছন্দ্যে কর্মস্থলে যেতে পারছি। অন্যান্য বছর ফিরতি পথে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এবার সেটা হচ্ছে না। 

তবে অনেক যাত্রী গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদীপারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। রুটের সব ফেরি সচল থাকায় সরাসরি আগত যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। তবে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ যাত্রী। যেকোন সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহনের লোড ছাড়াই ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটে এনে যানবাহন পারাপার করা হবে। 

তিনি আরো বলেন, জরুরি সেবা, কাঁচামালবাহী ট্রাক, আ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রী পারাপারে কোনো ভোগান্তি যেন না হয় সেজন্য বর্তমানে এই নৌরুটে ১৬টি ফেরিই চলছে।