নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের জামপুর গুদারাঘাট গ্রামে মা-বাবাকে মারধর করতে গিয়ে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে কিরণ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। পরিবারের দাবি তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) মো. বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি হাফিজুর রহমান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের শাহ জামালের ছেলে কিরণ (৩০) দীর্ঘদিন ধরে মাদকসেবন করে আসছেন। বিভিন্ন সময় তিনি বাবা-মাকে মারধর করে আহত করেছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ওই পরিবার। মাদকাসক্ত কিরণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর কিরণ মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতে থাকেন। তার পিটুনের মায়ের হাত ভেঙে যায়। এক পর্যায়ে কিরণ তার বাবাকে ছুরি নিয়ে মারতে গেলে ভাই মেহেদী হাসান ও গাব্বা এগিয়ে আসে। এসময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে কিরণের ছুরিটি তার পেটে ঢুকে যায়। পরে আহতাবস্থায় কিরণকে আড়াই হাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঢামেকে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর ওই বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, নিহত কিরণ মাদকাসক্ত ও বিকৃত মস্তিষ্কের ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে মাদকের টাকার জন্য মা-বাবাকে মারধর করতেন।