ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘গুরু’ শ্বশুরের পথে কাঁটা ‘শিষ্য’ জামাতা

‘গুরু’ শ্বশুরের  পথে কাঁটা ‘শিষ্য’ জামাতা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০০:৪১

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ বিশ্বাস। ছিলেন সরকারের মন্ত্রীও। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। দল ভরসা রেখেছে বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মণ্ডলের ওপর। তবে হাল ছাড়েননি লতিফ বিশ্বাস। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ জন্য ছেড়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ। আশা করছেন মমিন মণ্ডলকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। এ পথের কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছেন তাঁরই রাজনৈতিক ভাবশিষ্য নুরুল ইসলাম সাজেদুল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে তিনি বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন। সম্পর্কে লতিফ বিশ্বাসের জামাতা তিনি। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে আলোড়ন দেখা দিয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেন, তাঁতসমৃদ্ধ বেলকুচি-চৌহালীর রাজনীতিতে লতিফ বিশ্বাসের বিপুল জনপ্রিয়তা। বরাবরই তৃণমূলের পছন্দের নায়ক তিনি। একরকম গায়ের জোরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তাঁর জামাতা সাজেদুল। নৌকার প্রার্থীও বিত্তশালী ও ধনকুবের। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে লতিফ বিশ্বাসের বিকল্প নেই।

লতিফ বিশ্বাস নিজের রাজনৈতিক দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রাখছেন। তিনি বলেন, বেলকুচি-চৌহালীতে মজিদ মণ্ডল ও তাঁর ছেলে মমিন মণ্ডল দু’জনই এমপি ছিলেন। অথচ এ দুই উপজেলার দৃশ্যত উন্নয়নই হয়নি। জনগণ তাদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এ সময় তাঁর জামাতার দ্বন্দ্ব না করে সমন্বিত শক্তি নিয়ে একসঙ্গে লড়া উচিত। 

নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে দিনভর আলোচনা শেষে উনি নিজেই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বললেন। তাঁর নির্দেশেই আমি মনোনয়ন তুলেছি। অথচ তিনিই প্রার্থী হলেন। বিষয়টি অপমানজনক।’ 
 

whatsapp follow image

আরও পড়ুন

×