সোনারগাঁয়ে ৫ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি
হরতাল-অবরোধ না থাকায় সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকায় সমকাল
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০১:০৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, সাধারণ মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকরা।
এদিকে অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকলেও শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই গণপরিবহনের তুলনায় প্রচুর যানবাহনের চাপ ছিল। গতকাল সকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও চৈতী গার্মেন্টস এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনে যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। চৈতী গার্মেন্টস থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে এ এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়।
এদিকে মহাসড়কের পাশের পাম্প স্টেশনগুলোতেও যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা যায়। এসব কারণে মেঘনা টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে হিমশিম খেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় মাহমুদুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, সকালে তিনি কাঁচপুর থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কাঁচপুর থেকে চৈতী গার্মেন্টস পর্যন্ত কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়া আসতে পেরেছেন। এখান থেকে মোগরাপাড়া আসতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগে গেছে।
বাসযাত্রী কামরুল ইসলাম বাবু পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, পথে যানজট দেখে মনে হয়, সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারব না।
ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন বলেন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের অন্যান্য দিন প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজ (শুক্রবার) বের হয়েছেন। কিন্তু যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
খোকন নামের কাভার্ডভ্যানের চালক জানিয়েছেন, হরতাল-অবরোধে অনেক জায়গায়ই বাস-ট্রাক আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। শুক্রবার হরতাল না থাকায় মালপত্র নিয়ে বের হয়েছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক জানান, মহাসড়কে যানবাহনের অত্যধিক চাপ থাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এমন হয়েছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজট না থাকলেও টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে দেরি হওয়ায় গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।