বাকৃবিতে কাসাভা দিয়ে খাদ্যপণ্য উন্নয়ন
কাসাভা থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্যপণ্য -সমকাল
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০১:১১
কাসাভা হলো গাছের শিকড়জাত এক ধরনের আলু। কারও কারও কাছে শিমুল আলু বা কাঠ আলু হিসেবেও এটি পরিচিত। কাসাভা শর্করা জাতীয় খাবারের অন্যতম উৎস। এই কাসাভা প্রক্রিয়াজাত করেই রুটি, তেলে পিঠা, হালুয়া, পাকড়া, চিপস, চপ, কেকসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উন্নয়ন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক।
শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন প্রধান গবেষক ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছোলায়মান আলী ফকির। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আলমগীর হোসেন (১)।
গবেষক ছোলায়মান আলী ফকির জানান, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই সময়ে মানুষসহ গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ। বৈরী আবহাওয়ায় ধান-গমের উৎপাদন কমছে; বাড়ছে জনসংখ্যা। এমন অবস্থায় ধান, গম, চালের ওপর নির্ভরতা কমাতে পারে কাসাভার উৎপাদন ও ব্যবহার। পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শর্করা জাতীয় খাদ্য এবং প্রায় ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য এটি। কাসাভা চাষে মাটির ক্ষয় হয় বলে বাড়ির আশপাশের পতিত ও উঁচু জমিতে চাষ করা হয়। ফসলটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং কম উর্বর মাটিতেও জন্মাতে সক্ষম। কাসাভা সিদ্ধ করে, পুড়িয়ে এমনকি গোলআলুর মতো তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়। কাসাভার আটা গমের আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি, পরোটা, কেক তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।
গবেষক জানান, খাদ্যের চেয়ে শিল্পে কাসাভার ব্যবহার বেশি। বিশেষ করে বস্ত্র ও ওষুধ শিল্পের জন্য কাসাভা গুরুত্বপূর্ণ। গ্লুকোজের অন্যতম উৎস এই কাসাভা। কাসাভা স্টার্চকে এক ধরনের জীবাণুর মাধ্যমে গ্লুকোজে রূপান্তর করা হয়। কাসাভাতে গ্লুটেইন নামক প্রোটিন রয়েছে, যা আঠালো হয়ে থাকে।