টাঙ্গাইলে চিকিৎসকের অবহেলায় এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃতের স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গেও স্বজনদের হাতাহাতি হয়। মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার উপজেলার হুগরা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুর-ই-খোদা রায়েজ অসুস্থ হলে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে রোগীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না দিয়ে ফ্লোরে ফেলে রাখা হয়। পরে কর্তব্যরত নার্স একটি ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলে স্বজনদের কাছে চার হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দেওয়ার পর রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া হলেও কোনো চিকিৎসক তাকে দেখেননি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা রায়েজ মারা যান। এ সময় স্বজনরা চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী মৃতের স্বজনদের ওপর হামলা করেন। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর রায়েজের ছেলে আতিকুর রহমান রাজন একজন মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় অবহেলা এবং তাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনে আবাসিক মেডিকেল ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হুগরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, তার সামনেই আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা লোকজন নিয়ে নিহত মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের ওপর হামলা চালিয়ে লাশ নিতে বাধা দিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সজীব। তার দাবি, রোগীকে সবরকম চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা বিনা কারণে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে ও নার্সের শরীরে আঘাত করেছে। এ কারণে উপস্থিত হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাদেকুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, দু'পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।