কুষ্টিয়া সুগার মিলের প্রায় ৫২ টন চিনির হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। মিলের গুদামে ১০০ টনের ওপরে চিনি মজুদ থাকলেও এখন প্রায় অর্ধেকটার সন্ধান মিলছে না। এ ঘটনায় গুদাম কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

জানা গেছে, গত মৌসুমে উৎপাদন বন্ধ থাকা কুষ্টিয়া সুগার মিলের গুদামে ১১০ টনের বেশি চিনি মজুদ ছিল। বৃহস্পতিবার মিলের কর্মকর্তারা স্টক রেজিস্টারের সঙ্গে মজুদ চিনির পরিমাণ মেলাতে গিয়ে দেখতে পান সেখানে প্রায় ৫০ থেকে ৫২ টন চিনি কম আছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক গুদাম কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

ফরিদুল স্টোর কিপার ছিলেন। সম্প্রতি তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে সোহেল নামের একজন দায়িত্বে ছিলেন। তার সময় চিনি চুরি ঘটনা হয়ে থাকতে পারে বলে বেশির ভাগ শ্রমিক-কর্মচারী মনে করেন। 

এদিকে জিএম ফ্যাক্টারি কল্যাণ কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

মিলের জিএম (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি গত বৃহস্পতিবারে নজরে আসে। সেদিনই ফরিদুল ইসলামকে বরখাস্ত ও তদন্ত টিম গঠন করে কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন মিলের গোডউন খালি হয়নি। এ সুযোগে চিনি কখনো একেবারে শেষ হয়নি। এবার মিল বন্ধ হওয়ার পর চিনির স্টক শেষ হয়ে আসে। তাই রেজিস্ট্রার ও গোডাউনের চিনির হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। তার পরিমাণ ৫০ টনের বেশি। তদন্ত চলছে। বিষয়টি তদন্তে উঠে আসবে। যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে চিনি গায়েবের ঘটনা কথা বলতে রাজী হননি এমডি রাকিবুর রহমান। 

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন সিবিএ সভাপতি ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ফ্যাক্টারি, গোডাউন আর কর্মকর্তাদের কেউ কেউ জড়িত। ১০-১২ বছর ধরে এমন কাজ চলে আসছিল বলে মনে হয়। এখন বিষয়টি সামনে এসেছে। চিনির দামও কম নয়। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। একদিনে এত চিনি পাচার হয়নি। তাই সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সামনে আনতে হবে।