সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে আক্তারুজ্জামান তুহিন (২২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তার আক্তারুজ্জামান তুহিন উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মোবারক গাজীর ছেলে। তিনি স্থানীয় তালিমুল কোরআন নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি খালার সঙ্গে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী তুহিনের বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। এ সময় শিক্ষক তুহিন প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে শিশুটিকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার চিৎকার শুনে খালা দ্রুত ঘরে গেলে তুহিন বের হয়ে যান। পরে ওই শিশুর নানাসহ পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসার সুপার হাফেজ ইউনুস আলীকে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর নানা বাদী হয়ে ৪ জুন কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। শুক্রবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

তুহিন এর আগে বেশ কয়েকটি শিশুর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। বিষয়টি মাদ্রাসা সুপার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা বিচার বসিয়ে মীমাংসা করেন এবং তুহিনকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

কালিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, আক্তারুজ্জামান তুহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে চার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছে।