- সারাদেশ
- সম্পত্তির লোভে বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
সম্পত্তির লোভে বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাথী আক্তার- সমকাল
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সম্পত্তির লোভে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখমের পর বিষ খাইয়ে বোনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পরে সাথী আক্তার (৩৫) নামের ওই নারীকে ডামুড্যা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ভাই শামীম মেলকার, সম্রাট মেলকার ও সোহেল মেলকার।
সাথীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন চিকিৎসক। পুলিশ সাথীকে হেফাজতে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে উপজেলার কনেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কনেশ্বর গ্রামের আমির হোসেন মেলকার পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রেখে মারা যান। ছোট মেয়ে সাথী তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই থাকেন। এটা ভাই শামীম, সম্রাট ও সোহেল মেনে নিতে পারেননি। সম্পত্তির ভাগ চাইলে তারা সাথীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন, যাতে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী সাথী বলেন, 'আমার পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য ভাই শামীম, সম্রাট ও সোহেল আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। রড ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে আমাকে মারতে চেয়েছেন।'
ডামুড্যা হাসপাতালের চিকিৎসক রাহী দাস বলেন, সাথীকে তার ভাইয়েরা হাসপাতালে এনে বলেন- সাথী বিষ খেয়েছেন। এই বলে তারা চলে যান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত সোহেল বলেন, 'বোন সাথীর মাথায় সমস্যা আছে। এ কারণে তিনটি বিয়ে হলেও একটিও টিকে নাই। বোনের দেনমোহরের দশ লাখ টাকা বড় ভাই সবুজ মেলকার আত্মসাৎ করেছেন। এখন সেই বোনকে আমাদের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন তিনি। সবুজ বোনকে বিষ এনে দিয়েছেন। সেই বিষ বোন নিজেই খেয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।'
সবুজ বলেন, ছোট বোন সাথী আমাদের বাড়িতে থাকে। তার ভাগের সম্পত্তি দাবি করলে ছোট ভাইয়েরা তা মেনে নিতে না পেরে সাথীকে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চেয়েছে।
ওসি শরীফ আহম্মেদ বলেন, নারীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন