প্রতিবন্ধী নারী পূর্ণিমা রানীর বয়স প্রায় ৭০ বছর। বিধবা এ নারীর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে নয়ন চন্দ্রও প্রতিবন্ধী। দুই ছেলে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকতেন পূর্ণিমা। গত শুক্রবার আকস্মিক ঝড়ে ঝুপড়ি ঘরটি ভেঙে গেলে গৃহহীন হয়ে পড়ে এ পরিবারটি।

জানা গেছে, পূর্ণিমার স্বামী নারায়ণ চন্দ্র দাস মুচির কাজ করতেন। তিনি কয়েক বছর আগে মারা গেলে দুই ছেলে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন পূর্ণিমা। ছোট ছেলে রঞ্জন দাসের আয়ে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুপড়ি ঘরে কোনোভাবে চলত পূর্ণিমার সংসার।

পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ আমিরুজ্জামান রিপন জানান, শুক্রবার দুপুরের ঝড়ে পূর্ণিমা রানীর ঘরটি ভেঙে যায়। এ সময় পূর্ণিমা ও তার ছেলে ওই ঘরের নিচে চাপা পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন। একমাত্র ঘরটি হারিয়ে পরিবারটি পথে বসেছে।

বাকেরগঞ্জের ইউএনও মাধবী রায় জানান, তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ বান্ডিল টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পূর্ণিমা তার দুই ছেলে নিয়ে পাশের একটি ঘরের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন।

পূর্ণিমা রানী বলেন, শনিবার তো মারাই যেতাম ঘরের নিচে চাপা পড়ে, কোনোভাবে উপরওয়ালা বাঁচিয়ে রেখেছেন। সকালে খাওয়া হয়নি। বৃষ্টিতে বারান্দায় থাকা যায় না। আমি গরিব, আমার ঘর নেই। সরকার যদি আমাকে একটি ঘর দিত, আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলেদের নিয়ে থাকতে পারতাম।