পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক বিয়ে বাড়ির বউভাত অনুষ্ঠানে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন। 

শুক্রবার শেষ বিকেলে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে বরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ১৫ দিন আগে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে সোহেবের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মৌডুবী ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামের মোরশেদ হাওলাদারের মেয়ের বিয়ে হয়। গত বুধবার বর পক্ষ এসে কনেকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়। দু'দিন পর শুক্রবার কনে পক্ষের লোকজন বরের বাড়িতে কনেকে আনতে যায়। কথা ছিল কনে পক্ষের ৩০ জন যাবেন। কিন্তু সেখানে ৫০ জন যান।

এতে বর পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। দুপুরে খাবার শেষে কনেকে সাজাতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে কনে পক্ষ উত্তেজনাকর কথাবার্তা বললে এই ক্ষোভ আর অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন। পরে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির মীমাংসা হয় এবং বর ও কনেকে নিয়ে বাড়ি ফেরে কনে পক্ষ।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, বিষয়টি লোক মারফত শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। তাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কনে বাড়িতে গেছেন।