যোগদান ঠেকাতে যারা কলেজ অবরূদ্ধ করে রেখেছিলো, তাদের সঙ্গে নিয়েই ১৮দিন পর বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেছেন অধ্যাপক মো. কাইউম উদ্দিন আহমেদ। 

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া সমকালকে জানিয়েছেন,অধ্যাপক মো. এ এস এম কাইউম উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার ৪টায় উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেছেন।

সম্প্রতি বিএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কাইউম উদ্দিন আহমেদকে উপাধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়। এরপর এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় আন্দোলনে নামে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনীমের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা।

তারা অধ্যাপক কাইউমের যোগদানের নির্ধারিত দিন ২৩ মে থেকে কিছুদিন কলেজের সবগুলো প্রবেশ গেটে তালা মেরে কলেজ অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।

তখন ছাত্রলীগ নেতা আতিকুল্লাহ মুনীম সমকালকে বলেছিলেন,‘অধ্যাপক মো. কাইউম উদ্দিন দুর্নীতিবাজ। ২০০৮ সাল থেকে টানা ৯ বছর শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক থাকাকালে তিনি অসংখ্য দুর্নীতি করেছেন। সম্ভাব্য দুর্নীতি এড়াতে তাকে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করতে দেয়া হবে না।’

তবে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি মুনীম। অধ্যাপক কাইউমের যোগদানের সময় তার পাশেই ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা  আতিকুল্লাহ মুনীম। 

কলেজের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলনকারী ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রফেসর এ এস এম কাইয়ুম উদ্দিন আহমদ যোগদান করেছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতারাই অধ্যাপক কাইউমকে বৃহস্পতিবার কলেজে নিয়ে যান। 

আতিকুল্লাহ মুনীম সমকালকে বলেন, ‘আন্দোলন করেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্র নেতা হিসাবে আমি পাশে ছিলাম। আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাধ্যক্ষর কী সমঝোতা হয়েছে তা আমি জানি না।’

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।’