চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ শাখাওয়াত আলী লালুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। শুক্রবার রাতে নগরের খুলশী থানার দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার শাখাওয়াত নগরের খুলশী থানার ৩৯১ এম এম আলী রোডের শেখ মো. শমসের আলীর ছেলে। তিনি সিরিয়াফেরত জঙ্গি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই রাছিব খাঁন সমকালেক বলেন, 'শাখাওয়াত তার সঙ্গীদের জন্য অপেক্ষা করছে- এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে জিহাদী ও উগ্রবাদী কাগজপত্র, পাসপোর্ট, মোবাইল, ট্যাব এবং নোটবুক উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুলশী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্র জানায়,  ২০১২ সালে শাখাওয়াত তার ভায়রা আরিফ ও মামুনের মাধ্যমে আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন। সেনাবাহিনীর চাকুরিচ্যুত মেজর জিয়া, মনসুরাবাদ এলাকার শফিক হুজুর ও লালখানবাজার এলাকার ইলেকট্রনিক্স দোকানের কর্মচারী ওমর ফারুক ও শাখাওয়াত মিলে দেশে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন শাখাওয়াত।

সূত্র আরও জানায়, সিরিয়ায় যুদ্ধে অংশ নিতে ২০১৭ সালে তুরস্কে যান শাখাওয়াত। সেখান থেকে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেন। সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) কাছ থেকে ছয়মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশটির ইদলিব এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেন। পরে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে ফেরত আসেন। সেখান থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে শ্রীলংকায় যান। পরে ফের ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে থাকেন। গত ২২ মার্চ দেশে ফিরে এসে আবারও আনসার আল ইসলামকে সংগঠিত করার কাজ শুরু করেন শাখাওয়াত।