- সারাদেশ
- টাকা বেশি নেওয়ার প্রতিবাদ করে মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী
টাকা বেশি নেওয়ার প্রতিবাদ করে মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত দুই শিক্ষার্থী- সমকাল
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রোগী ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মারধর করেছে হাসপাতালের কর্মচারীরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই দুই শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রাত ৮টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অসুস্থ মাকে ভর্তির জন্য টিকিট কাটেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ানুল করিম রিয়াদ। এ সময় ওয়ার্ডের কর্মচারী ও দালালরা টিকিটের মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ১০০ টাকা দাবি করে। রিয়াদ তা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে অতিরিক্ত টাকার রসিদ চাইলে এক কর্মচারী তাকে মারধর শুরু করে। এরপর আরও ১৫-২০ জন কর্মচারী এসে তাকে মারতে থাকে।
তিনি বলেন, এ সময় রিয়াদের ছোট ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ করিম এগিয়ে এলে সেও হামলার শিকার হয়। পরে জরুরি বিভাগের পাশে একটি কক্ষে দুই ভাইকে আটকে রেখে এক ঘণ্টা ধরে মারধর করে হাসপাতালের কর্মচারী ও দালালরা। পরে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ শিক্ষার্থীরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে। রিয়াদের কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং রাশেদের ডান হাত গুরুতর জখম হয়েছে।
রিয়াদ বলেন, তার মা পাঁচ দিন ধরে অসুস্থ। এখানে ভর্তি ফি ৩০ টাকা হলেও তারা ১০০ টাকা নিয়েছে। তিনি ১০০ টাকার রসিদ চাইলে এক কর্মচারী তাকে মারধর শুরু করে। এরপর আরও ১৫-২০ জন একযোগে তাকে লাথি, কিল-ঘুসি মেরেছে। এরপর দ্বিতীয় দফায় রুমে নিয়ে তাদের দুই ভাইকে মেরেছে। তার গলাও টিপে ধরেছিল। মারধরের পর থেকে তিনি কানে কম শুনতে পাচ্ছেন।
রাশেদ বলেন, বড় ভাইকে পেটাতে দেখে তিনি এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। তার মাথা ও শরীরে অনেক ব্যথা অনুভব করছেন। তিনি বলেন, তার মায়ের কিডনি চিকিৎসার জন্য তাদের সপ্তাহে দু'দিন এ হাসপাতালে আসতে হবে। তাই প্রশাসনের কাছে তারা নিরাপত্তা চাচ্ছেন।
রমেক হাসপাতালের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন দাবি করেন, হাতাহাতির ঘটনাটি তারা মীমাংসা করে ফেলেছেন। ওই দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন