খুলনার কয়রা উপজেলায় ইয়াস দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে ফেরার পথে বিএনপি নেতাদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই নেতা আহত হয়েছেন। 

শনিবার দুপুরে উপজেলার চাঁদআলী সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোমরেজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শনিবার কালনা মাদ্রাসা মাঠে ত্রাণ বিতরণ শেষে দশহালিয়া বাঁধ পরিদর্শনে যান জেলা বিএনপির নেতারা। সেখান থেকে ফিরে পাইকগাছায় ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। বিএনপির নেতাদের বহনকারী গাড়ি চাঁদআলী সেতুর দক্ষিণ পাড়ে পৌঁছালে সেখানে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। বাঁধ পরিদর্শনে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি ছিল কিনা জানতে চায়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে নেতারা পুলিশকে নিবৃত্ত হতে অনুরোধ করেন। হঠাৎ পুলিশ এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে যুবদলের দুই নেতা আহত হন। তারা হলেন- মেহেদী হাসান মিলন ও শামীম আশরাফ।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পাইকগাছায় ফেরার পথে পুলিশ অহেতুক হামলা করে। হামলার পরে পুলিশ আমাদের গাড়ি কোথাও দাঁড়াতে না দিয়ে পাইকগাছা উপজেলা পার করে দেয়। সেখানে দুর্গত মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার কথা থাকলেও এ ঘটনায় তা সম্ভব হয়নি। এমনকি আসার পথে মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তেও বাধা দেয় তারা।

খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, কয়রায় ত্রাণ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি থাকার পরও পুলিশ বাধা দিয়েছে। বাঁধ পরিদর্শনের জন্য পুলিশের অনুমতি লাগে তা আমাদের জানা ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক।

কয়রা থানার ওসি রবিউল ইসলাম লাঠিপেটার ঘটনা অস্ব্বীকার করে বলেন, তারা (বিএনপি) সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ করে চলে গেছেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। সেখানে লাঠিপেটার ঘটনা কেন ঘটবে। হয়তো ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের অনেকেই ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই দায় পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন তারা।