সম্প্রতি বরিশালে কারামুক্ত ৪ জনকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন জেলা প্রশাসক। চাকরির নিয়োগপত্র, সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ি দেওয়া হয়েছে তাদের।     

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, ‘কারাগারের অভ্যন্তরে অপরাধী সংশোধন ও পূনর্বাসন সমিতি, সমাজসেবা অধিদফতর এবং বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্যেগে সদ্য কারামুক্তি হওয়া ৪ জনকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

পুনর্বাসিতদের মধ্যে একজন পিয়ারা বেগম (৩৮)। ১১ বছর বয়সে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া পিয়ারা বেগমকে স্কুল থেকে ধরে এনেছিল পুলিশ। চাচাতো বোনের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। ২৬ বছর কারাদণ্ড ভোগের পর গত ১০ জুন তিনি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

বুধবার পেয়ারা বেগমের হাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়োগপত্র ও সেলাই মেশিন তুলে দেন। 

শুধু পেয়ারা বেগমই নন, বৃহস্পতিবার তার মতো আরও ৩ জন পেয়েছেন নতুন জীবনের সন্ধান। ভ্যানগাড়ি ও সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে তাদের।  

বরিশালের হিজলা উপজেলার ৬৪ বছর বয়সী ভ্যানচালক আব্দুর রহমান মাঝি চুরির মামলায় একবছর কারাদণ্ড ভোগ করে সম্প্রতি মুক্তি পান। জেলা প্রশাসক বুধবার তাকে একটি ভ্যান উপহার দিয়েছেন। একই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ৩৩ বয়সী খালেদা আক্তার হত্যা মামলায় ৪ বছর কারাদণ্ড ভোগ করে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন। তাকে দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন।

অন্যদিকে, মাদক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড ভোগ করে এক মাস আগে মুক্তি পাওয়া বরিশাল নগরীর পলাশপুর এলাকার আয়েশা আক্তারও (৩৩) পেয়েছেন একটি সেলাই মেশিন। মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সংকল্পের কথা জানিয়েছেন তিনি।