কক্সবাজারে এনজিও সংস্থা লাইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী কর্মীদের যৌন হয়রানি ও হেনস্তার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছেন এক নারী কর্মী। 

মামলায় লাইট হাউসের নির্বাহী পরিচালক হারুনর রশিদ, প্রকল্পের টিম লিডার গ্রেনার মারাক, সমন্বয়কারী আনোয়ার শাহাদাত রবি, আফরোজা নাজনীন, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মিজাজুন নাহার মানিক, ফিল্ড মনিটর মারিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান ও কাউন্সিলর সানজিদাকে আসামি করা হয়েছে। 

জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী লাইট হাউসের একটি প্রকল্পে কর্মরত। সেখানে তাকে বিভিন্ন সময়ে যৌন হয়রানি ও হেনস্তা করা হয়। এ বিষয়ে জেলা লিগ্যালএইড কমিটিতে অভিযোগ করা হলে লিগ্যালএইড কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য্য লাইট হাউস কর্তৃপক্ষ ও অভিযোগকারী নারী কর্মীদের ৫ দফা লিখিত নির্দেশনা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। নির্দেশনায় নারী কর্মীদের যৌন হয়রানি হয়- এমন আচরণ থেকে এবং শালীন পোশাকের বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য লাইট হাউস কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কর্মস্থলে নারী কর্মীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে বলা হয়। প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহে আরও সতর্ক ও সজাগ থেকে দুর্নীতি দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এরপরও লাইট হাউসের কিছু কর্মকর্তা নারী কর্মীদের যৌন হয়রানি, মানসিক নির্যাতন ও অসদাচরণ করতে থাকেন।