- সারাদেশ
- লকডাউন দীর্ঘায়িতের আশঙ্কায় ভিড় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে
লকডাউন দীর্ঘায়িতের আশঙ্কায় ভিড় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে

বৃহস্পতিবার দুপুরেও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রীর চাপ অব্যাহত রয়েছে। ছবি: সমকাল
লকডাউন দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রীর চাপ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মানতে দেখা যায়নি।
এ সময় দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা ও আশপাশের জেলার শ্রমজীবী মানুষকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মিনি পিকআপসহ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে পাটুরিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড় জমাতে দেখা যায়।
এ ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা ও অটোরিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামতে দেখা গেছে। দুই ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে স্বাভাবিক সময়ে তুলনায় কয়েক বেশি ভাড়াও গুনতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
তবে প্রতিটি ফেরিঘাটেই পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় সরাসরি ফেরিতে উঠতে কোনো মানুষের সমস্যা হচ্ছে না।
ঢাকাগামী সিএনজি চালক আশরাফ জানান, ‘সামনে ঈদ বাড়ি বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না তাই ঢাকা যাচ্ছি।’ অন্যদিকে যশোরগামী সাভার পোশাক কারখানার শ্রমিক মজনু রহমান জানান, ‘লকডাউন আরও বাড়তে পারে, গতবারের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে একটু আগেভাগেই পরিবার-পরিজনকে বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি। অতিরিক্ত ভাড়া, বৃষ্টি ভোগান্তিকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এখন দৌলতদিয়া ঘাট থেকে নির্বিঘ্নে যেতে পারলেই হলো।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এর দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, ‘বর্তমানে এ নৌপথে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে, এতে আমাদের কিছুই করার থাকছে না।’
মন্তব্য করুন