ছয় কিলোমিটার কাঁচা সড়কের স্থানে স্থানে খানাখন্দ। বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে কাদায় একাকার। কোনো যান তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও দায়। কর্দমাক্ত এ সড়ক দিয়ে চলাচল না করতে পারায় কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন একদল তরুণ। বেহাল রাস্তাটি ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায়।

উপজেলার সাত নম্বর বাঘবেড় ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বাজার থেকে শালকোনা হয়ে বেলতলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে শালকোনা, বেলতলী, গাবরাখালী গ্রামসহ ২০টি গ্রামের সাধারণ মানুষ চলাচল করেন। এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে গাবরাখালী পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া যায়। চলমান বর্ষায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। প্রতি বর্ষায় এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি স্থানীয়রা পাকা করার দাবি জানিয়ে এলেও কাজ হচ্ছে না। চলতি বর্ষায় দুর্ভোগ শুরু হওয়ায় রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে বুধবার কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে শালকোনা গ্রামের একদল তরুণ।

তাদের একজন সাজ্জাদ হোসেন জানান, কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট করে হাটবাজারে যেতে হয়।

বেলতলী গ্রামের সফিউদ্দিন জানান, বর্ষায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও বড় বড় খানাখন্দে ভরা থাকে। চলাচল করা কঠিন তাদের।

উত্তর শালকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহমেদ হাসিম জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল থাকলেও কেউ দৃষ্টি দিচ্ছে না।

বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরহাদ রব্বানী সুমন বলেন, রাস্তাটি পাকা করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

ধোবাউড়া ইউএনও রাফিকুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির দিন কাঁচা রাস্তায় কাদা হবে স্বাভাবিক। তবে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকা করার বিষয়টি নিয়েও তারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।