চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়েছে। এ সময় পর পর দ্বিতীয় দিনের মতো ৭ জনের মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে এতথ্য জানানো হয়। খবর বাসসের

এতে বলা হয়, নগরীর ৯টি, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৩২৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।

সংক্রমণ হার ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর মধ্যে শহরের ২২৭ ও ১২ উপজেলার ১শ’ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ আনোয়ারায় ২০, হাটহাজারীতে ১৮, রাউজানে ১৭, রাঙ্গুনিয়ায় ১২, পটিয়ায় ১১, সীতাকুণ্ডে ৮, বোয়ালখালীতে ৫, মিরসরাইয়ে ৪, সন্দ্বীপে ২ জন এবং ফটিকছড়ি, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৭ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৫ হাজার ৩৫৭ জন ও গ্রামের ১২ হাজার ৬৪০ জন।

রোববার করোনাভাইরাসে আগের দিনের মতোই শহরের একজন ও গ্রামের ৬ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬৮৮ জন হয়েছে। এতে শহরের ৪৬৯ ও গ্রামের ২১৯ জন।

সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১২৩ জন। মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৩৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪২ হাজার ৫৯৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৯৬ জন । ছাড়পত্র নেন ৭০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ জন।

রোববার চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়। এর আগের সর্বোচ্চ হার ছিল ২৪ জুন ২৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। হারের পাশাপাশি সংক্রমণের সংখ্যাও বেড়েছে। রোববার একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয়। ২৬ জুন সংক্রমিত চিহ্নিত হন ৩শ’ জন।

এ মাসে সবচেয়ে কম আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬ জুন। সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১২ জুন। রোববারও ৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মাসের প্রথম ২৭ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।